
টানা চার দিন ধরে ফেনী শহরের ফুটপাতে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধভাবে দখল করে রাখা ফুটপাতের দোকানপাট। এতে কমেছে পথচারীদের ভোগান্তি। স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও পৌরসভার সম্মিলিত দ্যোগে শহরের প্রধান সড়ক ট্রাংক রোড, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, মহিপাল, কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড, কলেজ রোড, মিজান রোডসহ অলিগলিতে সড়কের উপর অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট ও ভাসমান হকারদের উচ্ছেদ করা হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার (৬ অক্টোবর) থেকে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ফুটপাত দখলমুক্ত করার এ অভিযান শুরু হয়। এসময় ফুটপাত ও ফুটপাতের পার্শ্বসড়কে বসানো অস্থায়ী দোকান, সাইনবোর্ড ও অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার থেকে অভিযানে যুক্ত হয় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুনরায় না বসতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে শহর ব্যবসায়ী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য ও ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম আব্দুর রহীম বলেন, যানজট সমস্যা নিরসনে এমন উদ্যোগ মাঝেমধ্যেই নেয়া হয়। তবে তা টেকসই হয় না। কারণ, দোকানের সামনে যেসব ফেরিওয়ালারা বসে তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়। এ কারণে প্রশাসন চলে যাওয়ার পর তারা আবার বসে। এক্ষেত্রে দোকানদারকে জরিমানা করা একমাত্র সমাধান বলে উল্লেখ করেন তিনি।
একাধিক পথচারী জানান, শহর জঞ্ঝাটমুক্ত ও পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচলে এ অভিযান চলমান রাখতে হবে। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অতীতের মতো যেন এ পরিবেশ বিঘ্নিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এমন অভিযানের জন্য আলাদা উইং করার দাবিও তোলেন কেউ কেউ।
পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সোমবার থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছাড়াও পৌরসভার প্রশাসকসহ লোকজন আছে। রাস্তাঘাট হকারমুক্ত করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাস্তার ওপর গ্যাসের অনেক লাইন আছে, অনেকগুলো হোটেল রাস্তার ওপর রান্নাবান্না করছে। এসব অবৈধ কাজ ও অবৈধভাবে দখল করা জায়গাগুলোও দখলমুক্ত করার জন্য আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার চেষ্টা চলছে। তবে ফুটপাত অবৈধ দখল মুক্ত রাখতে নাগরিকদেরও সদিচ্ছা থাকতে হবে। এ প্রত্যয়টা যদি সবার থাকে এবং সবাই যদি আন্তরিক হই তাহলে সম্ভব হবে।
/এমএইচ















