জয়পুরহাট করেসপনডেন্ট:
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত ৪ জনকে মামলা না করতে চাপ দেয়া ও প্রয়োগ ও চাকরির প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এই আদেশ দেন। আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের গতনশহর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে পেছন থেকে একটি সরকারি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানে থাকা ৪জন গুরুতর আহত হন।আহতরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৫৫), আব্দুল মামুদ (৩০), হামিদুল ইসলাম (৪৮), মোছা. শিল্পি (৪৫)।
এ ঘটনার পর ‘আমাদের জয়পুরহাট’-নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে আহতদের পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ ও চাকরির প্রলোভন দেখানো সংবলিত একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়। পোস্টটি নজরে এলে আদালত তাৎক্ষণিকভাবে নিজ উদ্যোগে বিষয়টি আমলে নেন।
আদেশে আদালত উল্লেখ করেন, ফেসবুক পোস্টে অপরাধের সময় ও স্থান উল্লেখ থাকলেও অভিযুক্তদের নাম, সুনির্দিষ্ট পরিচয়, সাক্ষীর বিবরণ এবং ঘটনার আলামতের তথ্য অনুপস্থিত। এছাড়া, আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিকেল সার্টিফিকেটও সংযুক্ত নেই। ফলে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন।
স্থানীয়রা জানান, ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়া গাড়িটি জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফরোজা আক্তার চৌধুরীর সরকারি গাড়ি। গাড়ি নম্বর জয়পুরহাট ঘ ১১-০০২৫। গাড়িটি একটা ছোট ছেলে চালাচ্ছিল। হাসপাতালে ভর্তি আহতদের জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টরের (এনডিসি) মাধ্যমে খোঁজ খবর নেয়া হয়। এছাড়া, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত হামিদুলকে ভ্যান কিনে দেয়া ও তার ছেলে সাব্বিরকে চাকরি দেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেয়া হয়।
/আরএইচ