স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর দুমকিতে মোসাম্মদ মুক্তা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। শুক্রবার সকালে অচেতন অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ট্রোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে চিকিৎসকের ধারণা।
অপরদিকে মুক্তা আক্তারের ভাই মো. মাসুম হোসেনের অভিযোগ, শ্বশুর শাশুড়ির নির্যাতনে তার বোনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত মুক্তা আক্তার দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চরবয়েড়া গ্রামের মো. আসাদ গাজীর স্ত্রী এবং বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের শাহআলম মুন্সির মেয়ে।
দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের পর মুক্তা আক্তারের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। কারণ সুরতহাল রিপোর্টে মুক্তা আক্তারের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এদিকে মুক্তা আক্তারের ভাই মো. মাসুম হোসেন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই মুক্তার শ্বশুর শাশুড়ি নির্যাতন করতো মুক্তার উপর। বিষয়টি তার দুলাভাই আসাদ গাজীকেও অবহিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতেও মুক্তা মোবাইল ফোনে জানিয়েছে যে, তার শ্বশুর তাকে মারার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। পরে শুক্রবার সকালে শোনে তার বোন মারা গেছে।
মাসুম জানান, আমার বোনকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুক্তার স্বামী আসাদ গাজী ঢাকা-মদনপুরা লাইনে যাত্রীবাহী লঞ্চে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে। তার শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন।
/এটিএম