ঝিনাইদহে নিখোঁজের দুইদিন পর আইরিন আক্তার তিথি (১৮) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুধসর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আইরিন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। আইরিন দুধসর গ্রামের মিঠুর মেয়ে।
তিথির মা রেখা বেগম জানান, শুক্রবার রাতে একটি ফোন পেয়ে তিথি তাদের প্রতিবেশী কালুর বাড়িতে যায়। যাওয়ার সময় সে নিজেই মোবাইলের কললিষ্ট থেকে নাম্বারটি মুছে দিয়ে যায়। সেখানে কি হয়েছে বা কার সঙ্গে কথা বলেছে তা জানার আগেই তার মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিথির পিতা মিঠু জানান, রোববার সকালে তিথি নিখোঁজ থাকার বিষয়ে শৈলকুপা থানায় জিডি করেন তিনি। জিডি করার ৭ ঘণ্টার মধ্যে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মেয়ের লাশ মিললো। তার মেয়ে গত বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে তিনি দাবী করে হত্যার নেপথ্যের কুশিলবদের তিনি সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
প্রতিবেশিরা জানান, গত শুক্রবার রাতে ফোন পেয়ে তিথি পাশে কালুর বাড়িতে যায়। সেখানে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের ধারণা, প্রেমের সম্পর্কের কারণে কেউ ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার পর তার শরীরে কোন দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রোববার সকালে আইরিন আক্তার তিথি নামে এক মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন তার পিতা মিঠু। এখন শুনেছি তার লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করবেন বলেও জানান ওসি।