গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে (ডিআরসি) আইএসআইএল (আইএসআইএস)-সমর্থিত বিদ্রোহীরা এ মাসে অন্তত ৫২ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন।
গত ৯ থেকে ১৬ আগস্টের মধ্যে উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি ও লুবেরো অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) এই হামলা চালায়। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন জানায়, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হামলার পাশাপাশি জিম্মি করা, লুটপাট, ঘরবাড়ি, গাড়ি ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া এবং সম্পদ ধ্বংসের মতো নৃশংসতাও চালিয়েছে তারা। ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক সংকটে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর এই আক্রমণগুলো মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, হামলাকারীরা প্রথমে গ্রামবাসীদের ঘুম থেকে ডেকে একত্রিত করে, তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে পরে ‘কুড়াল ও দা’ ধারালো অস্ত্র দিয়ে গণহত্যা চালায়।
সম্প্রতি কিছুটা শান্ত অবস্থা বিরাজ করলেও জুলাই মাসে ইটুরি প্রদেশের কোমান্ডা শহরে এক ক্যাথলিক গির্জায় হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করেছিল এডিএফ, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি ছিল।
১৯৯০-এর দশকে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনির শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এডিএফ গঠিত হয়। এরপর ২০০২ সালে, উগান্ডার সেনা অভিযানের পর তারা কঙ্গোয় কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএসআইএলের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে।
এ মাসে নিহতদের মধ্যে অন্তত নয়জন স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত থেকে রোববার (১৭ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত উত্তর কিভুর ওইচা শহরে এক হামলায় নিহত হয়েছেন। কয়েক দিন আগে লুবেরোর বাপেরে অঞ্চলেও অন্তত ৪০ জনকে হত্যা করেছিল তারা।
মনুসকো জানিয়েছে, নতুন হামলার পর তারা কয়েকটি এলাকায় সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে এবং শত শত বেসামরিক মানুষকে তাদের ঘাঁটিতে আশ্রয় দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের শেষ দিকে উগান্ডা ও কঙ্গোর সেনারা ‘শুজা’ নামে একটি যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করলেও এখন পর্যন্ত এডিএফের হামলা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: আল জাজিরা।
/এআই