ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলের তাণ্ডব-বর্বরতা-হত্যাযজ্ঞের মধ্যে এখনও প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। বুধবার (২০ আগস্ট) খান ইউনিসে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সেনাদের সাথে তুমুল লড়াই হয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। তেলআবিবের দাবি, ১০ হামাস সদস্য নিহত হয়েছে সেখানে। আইডিএফ সেনারাও হতাহতের শিকার বলে দাবি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির।
মূলত, ইসরায়েল হামাসকে গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করলেও, হঠাৎ হঠাৎ যেন ফিনিক্স পাখির মতো নিজেদের উপস্থিতির জানান দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীরা।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে খান ইউনিসের দক্ষিণে ইসরায়েলি সেনাদের একটি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় হামাস যোদ্ধারা। তেলআবিবের দাবি, একটি টানেল থেকে বেরিয়ে আসে ১৮ জনের একটি দল। হামলা চালায় আইডিএফ সেনাদের ওপর। মেশিনগান দিয়ে গুলি এবং ট্যাংক বিধ্বংসী রকেটও ব্যবহার করে যোদ্ধারা। পাল্টা অভিযানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আইডিএফ। দাবি, ১০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। বাকি ৮ জন পালিয়ে যায়।
এদিকে, খান ইউনিসে হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাশেম ব্রিগেড। তাদের দাবি, সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে যোদ্ধারা। একাধিক ভবনে প্রবেশ করে হত্যা করা হয়েছে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে। ধ্বংস করেছে বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও বিস্ফোরক ডিভাইস।
৩ জন আহতের কথা জানালেও সেনা নিহতের কথা স্বীকার করেনি তেলআবিব। হামাসের দাবি কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে লড়াই। আইডিএফ অবশ্য বলছে, এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয় তাদের অভিযান। গাজায় হামাসের চেইন অব কমান্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে দাবি আইডিএফ’র।
আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস ও তাদের চেইন অব কমান্ড ভেঙে তাদের সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এখন গাজা সিটিতে হামাসের সব স্থাপনা উড়িয়ে দেয়াই লক্ষ্য। মাটির ওপরে-নিচে; সব জায়গা থেকেই উৎখাত করা হবে হামাসকে।
উল্লেখ্য, আইডিএফ-এর দাবি, গত ৫ মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি হামাস সদস্য।
/এমএইচআর