
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার প্রয়াত মাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে কয়েকশ’ বিজেপি কর্মী কলকাতার মৌলালি থেকে পার্ক সার্কাস যাওয়ার সিআইটি রোডের জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের কার্যালয়ে আচমকা ঢুকে পড়েন এবং ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এটি বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা।
২০১১ সালের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর সাবেক সরকার বামফ্রন্টের কোন সদর কার্যালয়ে এমন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এমনিতেই শাসক দল এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলির সদর কার্যালয়ে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নিরাপত্তা দেয়া হয়। যদিও এদিন সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও তাদের বাধা দেয়া বা আটকানোর কোন চেষ্টা করেনি।
ঘটনার পর তীব্র নিন্দা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর চক্রবর্তী। এন্টালি থানায় ঘটনার বিবরণ ও ছবি দিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই হামলার ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ বলে জানান যায়।
দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কার্যালয়ে হামলার তীব্র সমালোচনা ঝড় উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কার্যত জাতীয় কংগ্রেসকেই দোষারোপ করেছেন এই ঘটনার জন্য।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একদল বিজেপি কর্মী দুপুর আড়াইটার দিকে সিআইটি রোডের বিধান ভবনে সামনে উপস্থিত হন। বিধান ভবনে টাঙানো রাহুল গান্ধীর ছবি সম্বলিত ব্যানারে আলকাতরা মাখানো হয়। এরপর স্লোগান দিতে দিতে বিজেপি কর্মীরা বিধান ভবনের এক তলায় প্রবেশ করেন। সেখানে যত পোস্টার ব্যানার ছিল সেগুলিতে এক জায়গায় করে আগুন ধরিয়ে দেন। ভাঙচুর চালানো হয় অফিসে।
যতক্ষণ পর্যন্ত রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ও তার মায়ের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইবেন ততক্ষণ পর্যন্ত দেশভর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি এই বিক্ষোভ আন্দোলন করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
/এআই

















