জাতিসংঘের পারমাণবিক তদারকি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, তাদের পরিদর্শকরা সিরিয়ার একটি সন্দেহভাজন স্থানে ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব পেয়েছেন, যা সাবেক বাশার আল আসাদের সরকারের গোপন পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে দেশটিতে একটি অঘোষিত পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছিল বলে মনে করছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ছিল পূর্বাঞ্চলীয় দেইর এজ-জোর প্রদেশে উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত একটি অঘোষিত পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর।
আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি আগেই বলেছেন, সিরিয়ার কিছু কার্যক্রম সম্ভবত পারমাণবিক অস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
গত বছর আইএইএ পরিদর্শকরা তিনটি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন, যা দেইর এজ-জোরের সাইটের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ ছিল। সেগুলোর মধ্যে এক স্থানে পাওয়া নমুনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম কণা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে, ২০০৭ সালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়ার পর দেইর এজ-জোর সাইটটি প্রকাশ্যে আসে। এরপর সিরিয়ার তৎকালীন সরকার স্থানটি ঢেকে ফেলে এবং আইএইএ-কে যথাযথ উত্তর দেয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এবং পুনরায় সাইটে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। সেখানে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা এখন বিশ্লেষণাধীন।
গ্রোসি আরও জানিয়েছেন, সিরিয়া ভবিষ্যতে ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর স্থাপনের মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তি কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সূত্র: আরব নিউজ।
/এআই