
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের কাউন্সেলর মর্গান ওর্তাগাস। ছবি: জেরুজালেম পোস্ট।
যুদ্ধবিরতির আহ্বান ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনকে পুনরায় হামলার সুযোগ দেবে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলছে, এই প্রস্তাবে হামাসের সন্ত্রাস ও ইহুদি জনগণের ওপর হামলার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তাবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কোনো দাবি তোলা হয়নি এবং ইসরায়েল ও হামাসকে একক পর্যায়ে তুলনা করে একটি ‘ভুল বার্তা’ দেয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের কাউন্সেলর মর্গান ওর্তাগাস এক বিবৃতিতে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যানের যুক্তি তুলে ধরেন।
ওর্তাগাস বলেন,
‘আমাদের বিরোধিতা নতুন কিছু নয়। এই প্রস্তাবে হামাসকে কোনোভাবে নিন্দা করা হয়নি বরং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে এবং হামাসের পক্ষে প্রচলিত ভুল তথ্যকে উৎসাহিত করা হয়েছে, যা এখন নিরাপত্তা পরিষদে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা পরিষদের কিছু সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিতে বাধ্য হয়, যা শেষ পর্যন্ত হামাস ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের জন্য ‘একটি জীবনরক্ষাকারী দড়ি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওর্তাগাস মনে করিয়ে দেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন (হামাস)-ই যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলে গণহত্যা ও ব্যাপক অপহরণের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্টের পর এটি ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের ঘটনা।’
তার মতে, হামাস এসব বর্বরতাকে উদযাপন করে এবং ভবিষ্যতেও এমন হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখনো ৪৮ জন জিম্মি ‘জীবন্ত নরকে’ বন্দি আছেন, যাদের অনেকে ক্ষুধা, নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে মুক্তিপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন।
ওর্তাগাসের মন্তব্য,
‘এই যুদ্ধ আজই শেষ হতে পারত, যদি হামাস অস্ত্র জমা দিয়ে জিম্মিদের ছেড়ে দিতো। ইসরায়েল শান্তির শর্ত মেনে নিয়েছে, কিন্তু হামাস এখনো অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।’
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট।
/এআই
















