গাজাগামী ত্রাণবহর সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলা এবং জাহাজ জব্দের ঘটনায় আটক করা হয়েছে আলোচিত পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গসহ ৩৭ দেশের ২০০-এর বেশি মানবাধিকার কর্মীকে। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, আটকৃতদের কোথায় রাখা হবে নাকি নিজ দেশে পাঠানো হবে।
তবে এ বিষয়ে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে—ইসরায়েলের অধিবাসী অধিকার সংস্থা এবং আইনকেন্দ্রের আদালর পরিচালক সুহাদ বিষারা বলেছেন, আটক মানবাধিকার কর্মীদের আশদোদ বন্দরে পৌঁছানোর পরে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে তাদের কেটজিয়োট কারাগারে পাঠানো হবে, এরপরই নির্বাসনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হবে। তবে তাদেরকে আইনি সহায়াতা দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন আইনকেন্দ্রের এই পরিচালক।
রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, আটকৃতদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতের ব্যাপারে আমাদের প্রধান উদ্বেগ। পাশাপিাশি তাদের শুনানির আগে ও চলাকালীন অভিবাসন ট্রাইব্যুনালে এবং ইসরায়েলের কারাগারে থাকা অবস্থায়, তারা সব আইনগত পরামর্শ পাচ্ছে কি না।
তবে ইসরায়েলের এই কারাগারটি সাধারণত অভিবাসীদের আটক রাখে না বলে জানিয়েছেন পারিসের সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ওমের শাটজ।
প্রসঙ্গত, সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় অংশ নিয়েছেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, নেলসন ম্যান্ডেলার নাতী মান্দলা ম্যান্ডেলা ও বাংলাদেশের আলোচকচিত্রী শহিদুল আলম।
/এসআইএন