মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ফের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার (৪ অক্টোবর) উপত্যকাটির বিভিন্ন এলাকায় হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। খবর, আল জাজিরা’র।
এদিন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ৯৩টি বিমান হামলা চালায়। এতে ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। শুধু গাজা সিটিতেই প্রাণ হারান ৪৭ জন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগ বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই মাস থেকে আট বছর বয়সী সাতটি শিশুও রয়েছে।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমি দেরি মেনে নেব না, যা অনেকেই ঘটবে বলে মনে করছেন। এমন কোনো ফলাফলও মেনে নেব না, যেখানে গাজা আবার হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটা দ্রুত শেষ করি—দ্রুত। সবার সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে।’
গতকাল আলাদা একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে এবং তা হামাসকে জানানো হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘হামাস এটা নিশ্চিত করলে যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। জিম্মি ও বন্দিবিনিময় শুরু হবে এবং আমরা পরবর্তী ধাপের (ইসরায়েলি সেনা) প্রত্যাহারের জন্য শর্তগুলো তৈরি করব।’
অপরদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দাবি করছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই হামলা আরও বেড়েছে। হামাস একে ‘রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করে।
বিবৃতিতে হামাস জানায়, নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এই সামরিক অভিযান প্রমাণ করে, নেতানিয়াহুর সরকার যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত এবং তার শান্তির দাবি একটি নাটক মাত্র।
তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে। সেইসঙ্গে তারা ত্রাণ সহায়তা জোরদার ও গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে।
সার্বিক এই প্রেক্ষাপটে মিশর ঘোষণা দিয়েছে, সোমবার কায়রোতে ইসরায়েল ও হামাস প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।
/এমএইচআর