Swadhin News Logo
মঙ্গলবার , ৮ জুলাই ২০২৫ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

কেন এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে টেক্সাসের বন্যা?

প্রতিবেদক
Nirob
জুলাই ৮, ২০২৫ ৩:১৬ অপরাহ্ণ
কেন এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে টেক্সাসের বন্যা?

কেন এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে টেক্সাসের বন্যা?

টেক্সাসে শিশুদের একটি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প এবং অন্যান্য অবকাশযাপন কেন্দ্রে ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আসা প্রবল বৃষ্টি আসে অকল্পনীয় দ্রুততায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোররাতে, যখন শিশুরা এবং স্টাফরা ঘুমাচ্ছিলেন, তখন কোনও সতর্কতা ছাড়াই পানির স্রোত ক্যাম্প মিস্টিকের পাথরের কেবিনগুলোর মধ্যে দিয়ে ধেয়ে আসে। গুয়াডালুপ নদীর বাঁধ ছাপিয়ে যায় মাত্র কয়েক ঘন্টায়। এই বন্যা এমন এক ঘটনা যা দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা ‘১০০ বছরের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।

বন্যার কারণে পানি ক্যাম্প রুমের জানালাগুলোর অর্ধেক দাগ পর্যন্ত পৌঁছায়। ছবি: বিবিসি নিউজ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সমগ্র রাজ্যজুড়ে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ২৭ জনই ছিল গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প থেকে। পানির স্রোত সেই ক্যাম্পের ছাদওয়ালা কেবিনগুলোর মধ্যে দিয়ে ধ্বংসের চিহ্ন রেখে গেছে। ভয়াবহ এই বন্যায় আট বছর বয়সী শিশুদের জীবনও কেড়ে নিয়েছে।

এই ধ্বংসযজ্ঞের পেছনের শক্তির কিছুটা ধারণা দেয়া যায় এই ছবির মাধ্যমে, যা দেখায় কীভাবে একটি এলাকায় পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও নিখোঁজদের খোঁজ চলার পাশাপাশি, এই প্রশ্ন উঠছে যে এত বড় প্রাণহানি রোধে আরও কিছু করা যেত কিনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্র্যাজেডির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে চরম আবহাওয়া, অবকাশযাপন কেন্দ্রের অবস্থান এবং সময়।

  • অতিরিক্ত আর্দ্রতা: মেক্সিকোতে বন্যা সৃষ্টিকারী একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের পর বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা ছিল, যা উত্তরে সরে গিয়ে টেক্সাসে এই বিপর্যয় ডেকে আনে।
  • ভৌগোলিক অবস্থান: ক্যাম্পটি অবস্থিত কার কাউন্টি এলাকায়, যেখানে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এটি পার্শ্ববর্তী কাউন্টিগুলোর তুলনায় বেশি পাহাড়ি। এর ফলে আর্দ্র বাতাস উপরের দিকে উঠে বিশাল বজ্রমেঘ তৈরি করে, যা নিজেই একটি আবহাওয়া ব্যবস্থায় পরিণত হয় এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বর্ষণ ঘটায়।
  • ধীরগতির ঝড়: এই ব্যবস্থাটি ধীরে ধীরে চলার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে এবং গুয়াডালুপ নদীর আশেপাশে আরও বজ্রঝড় সৃষ্টি করেছে, যা অভূতপূর্ব গতিতে ফুলে উঠেছিল।

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস রিপোর্ট করেছে, দক্ষিণ-মধ্য কার কাউন্টিতে মাত্র তিন থেকে ছয় ঘণ্টায় ৫-১০ ইঞ্চি (১২৫-২৫০ মিমি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) থেকে সোমবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত কিছু এলাকায় প্রায় ২১ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ২৫ বছরের জুলাই মাসে কারভিল এলাকায় গড় বৃষ্টিপাত মাত্র ২ ইঞ্চির কিছু বেশি, অর্থাৎ এই কয়েক ঘণ্টায় চার মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে।

জীবনহানির আরেকটি কারণ ছিল সময়—বৃহস্পতিবার রাতে অনেক টেক্সানই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এই ধারণা নিয়ে যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি ভয়াবহ ঝড় হয়তো থেমে যাবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি বন্যা পর্যবেক্ষণ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং মধ্যরাতের পর এটি বন্যা সতর্কতায় উন্নীত হয়েছিল, যেখানে লোকজনকে উচ্চভূমিতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। পরের দুই ঘণ্টায় এটি ফ্ল্যাশ ফ্লাড সতর্কতায় পরিণত হয় এবং কিছু লোক রাতে তাদের ফোনে টেক্সট অ্যালার্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে কারভিল সিটি ম্যানেজার ডাল্টন রাইস বলেছেন, তিনি নদীর কাছে জগিং করতে গিয়ে দেখেছেন হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।

তবে ঠিক আধা ঘণ্টা পরে, কার কাউন্টির জন্য একটি জরুরি ফ্ল্যাশ ফ্লাড সতর্কতা জারি করা হয়, যা ইঙ্গিত দেয় এটি একটি ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতি’—কিন্তু তখনই বড় বন্যা শুরু হয়ে গিয়েছিল।

ক্যাম্প মিস্টিক ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। কার কাউন্টি টেক্সাস হিল কান্ট্রির হৃদয়ে অবস্থিত, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদী, হ্রদ এবং ওয়াইনারির জন্য জনপ্রিয়। কিন্তু এই অঞ্চলটি ‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড অ্যালে’ নামেও কুখ্যাত, কারণ বারবার বন্যা স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোর জন্য ধ্বংস ডেকে আনে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোররাতে, পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোত সরাসরি নদীতে গিয়ে মিশে পরিস্থিতি দ্রুত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। নদীর পাশের নিচু এলাকাগুলো অত্যন্ত দ্রুত পানিতে তলিয়ে যায়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যাম্পের কিছু মেয়ে যারা নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে, তারা নদীর তীর থেকে মাত্র ৫০০ ফুট (১৫২ মিটার) দূরের নিচু কেবিনে ছিল। যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদের সামরিক ট্রাকে করে নিরাপদে নেয়া হয়েছিল। তারা বলেছেন, ক্যাম্পটি আর চেনার উপায় ছিল না—গাছ উপড়ে পড়েছে, কায়াক গাছে আটকে আছে, মেয়েদের পানির মধ্যে থেকে টেনে বের করা হচ্ছিলো।

এই ধরনের চরম আবহাওয়া ঘটনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও উপেক্ষা করা যায় না। যদিও একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়া ঘটনার সাথে পৃথিবীর উষ্ণায়নের সরাসরি সম্পর্ক প্রমাণ করা কঠিন, তবে মেক্সিকো উপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, যেখান থেকে এই বাতাসের কিছু অংশ এসেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল।

উষ্ণ পানি মানে বেশি বাষ্পীভবন এবং তাই বাতাসে বেশি আর্দ্রতা, যা ঝড়কে আরও শক্তিশালী করে। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত সতর্ক করে আসছেন যে, পৃথিবী যত উষ্ণ হবে, টেক্সাসের মতো এমন বৃষ্টিপাতের ঘটনা আরও ঘন ঘন এবং আরও ভয়াবহ হবে।

/এআই

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত
চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, ২০ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, ২০ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

বাঁধ ভেঙে ফেনীর ২০ গ্রাম প্লাবিত, পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ

বাঁধ ভেঙে ফেনীর ২০ গ্রাম প্লাবিত, পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ

গ্রিসে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিহত

গ্রিসে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিহত

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স

চাঁপাই-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাস চলাচল বন্ধ

চাঁপাই-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাস চলাচল বন্ধ

রাশিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ

রাশিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ

‘আ.লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন’ নির্দেশনা নিয়ে বিতর্ক, পরে সংশোধন

‘আ.লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন’ নির্দেশনা নিয়ে বিতর্ক, পরে সংশোধন

একুশ বছর জামায়াত কি রাজাকার ছিল না, প্রশ্ন সাঈদী পুত্রের

একুশ বছর জামায়াত কি রাজাকার ছিল না, প্রশ্ন সাঈদী পুত্রের

বাংলাদেশি যাত্রীর সঙ্গে ভুলে চলে গেল ৩ কোটির হীরা, উদ্ধার করলো দুবাই পুলিশ

বাংলাদেশি যাত্রীর সঙ্গে ভুলে চলে গেল ৩ কোটির হীরা, উদ্ধার করলো দুবাই পুলিশ

মালয়েশিয়ায় স্বল্প খরচে ১২ লাখ শ্রমিক পাঠানোর আশা সংশ্লিষ্টদের

মালয়েশিয়ায় স্বল্প খরচে ১২ লাখ শ্রমিক পাঠানোর আশা সংশ্লিষ্টদের