তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সাথে যুদ্ধ বাধলে মিত্রদের অবস্থান কী হবে— জানতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে, অবস্থান স্পষ্ট করতে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে চাপ দিচ্ছে দেশটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্রদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতেও বলছে ওয়াশিংটন।
মূলত পাল্টাপাল্টি মহড়ায় ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক। বেইজিংয়ের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে তাইপেকে বিপুল সমরাস্ত্র সহায়তা দিয়ে উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্রও।
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিলেও তাইওয়ান ইস্যুতে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অস্পষ্ট। চীনের সাথে যুদ্ধ বাধলে সরাসরি অংশ নিবে কিনা দেশটি, জো বাইডেন ছাড়া সে বিষয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেনি আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন বেশ কয়েকবারই তাইওয়ানে হামলা হলে হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাকি প্রেসিডেন্টদের মতো নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেননি।
তাইওয়ান নিয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান স্পষ্ট না করলেও গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। চীনের সাথে সংঘাত শুরু হলে কি হবে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তা জানতে এরইমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। অন্তত পাঁচজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ফিনান্সিয়াল টাইমস।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে একাধিক বৈঠকে চীনের সাথে উত্তেজনাকে বেশ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবি। এসময়, মিত্রদের ভূমিকা কি হবে তা জানার জন্য তিনি চাপ তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, এতে বেশ হতাশ টোকিও ও ক্যানবেরা।
প্রসঙ্গত, সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেশ দু’টিকে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির তাগিদ দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
/এমএইচআর