গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণে খান ইউনিস ও রাফাহর কাছে দুটি সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও অনেক আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহতরা মূলত খাদ্য সহায়তা পাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সহায়তা বিতরণ করছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’।
তবে জিএইচএফ দাবি করেছে, তাদের কেন্দ্রে বা এর আশেপাশে কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, সহায়তা কেন্দ্র খোলার আগে তারা ‘সতর্কতা গুলি’ চালিয়েছে যাতে ‘সন্দেহভাজনরা’ কাছে না আসে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলি গুলি ‘হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে’ করা হয়েছিল। মোহাম্মদ আল-খালিদি নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি ও অন্যান্য ফিলিস্তিনিরা শুনেছিলেন যে জিএইচএফের সহায়তা কেন্দ্র খোলা আছে, কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক তাদের দিকে এগিয়ে এসে গুলি চালায়।
তিনি বলেন, ‘এগুলো ভয় দেখানোর গুলি ছিল না, এগুলো সরাসরি আমাদের হত্যার জন্য করা হয়েছিল।’
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, গত ৬ সপ্তাহে জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে ৬৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য কনভয়ের রুটে আরও ২০১ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
জিএইচএফ এই সংখ্যাকে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং দাবি করেছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়।
গত ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যে ৩৮,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার ৯৫% জনগণ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে, এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সাহায্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে, জিএইচএফের মাধ্যমে সাহায্য বিতরণ হামাসের চোরাচালান রোধ করতে জরুরি। তবে জাতিসংঘ এই পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, একে ‘অনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেছে।
সূত্র: বিবিসি নিউজ।
/এআই