সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী দু’টি বড় সংস্থার স্বাধীনতা খর্ব করার লক্ষ্যে বিল পাস হয়েছে ইউক্রেনের পার্লামেন্টে। এর জেরে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে ক্ষোভ। রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরুর পর গত তিন বছরে এটিই দেশটিতে প্রথম সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টে পাস হয় নতুন একটি বিল। পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এরইমধ্যে এই বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।
সাধারণ ইউক্রেনীয়দের অভিযোগ নতুন আইন কার্যকর হলে উল্লেখযোগ্যভাবে খর্ব হবে ন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো অব ইউক্রেন ও স্পেশালাইজড অ্যান্টি করাপশন প্রসিকিউটর অফিসের স্বাধীনতা। এ দুই দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার ওপর কর্তৃত্ব পাবেন প্রসিকিউটর জেনারেল।
ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষেরা বলছেন, জেলেনস্কি সরকারের নতুন পদক্ষেপে ভেঙে পড়তে পারে দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা। সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকতেই বিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিক্ষোভে আসা একজন বলেন, আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, যাতে সামরিক বাহিনীকে আরও অর্থ দেয়া যায়। সরকার যত বেশি কার্যকরভাবে সম্পদের ব্যবহার করবে এবং দুর্নীতি কম হবে, তত বেশি আমরা প্রতিরক্ষা কাজে সম্পদের যোগান পাবো।
আরেকজন বলেন, দুর্নীতি এখনও আমাদের বড় সমস্যা। যুদ্ধের মধ্যেও জিডিপির বড় একটি অংশ গ্রাস করছে দুর্নীতি। প্রেসিডেন্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরিবর্তে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
এরইমধ্যে বিতর্কিত বিলের সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। এমনকি ইউক্রেন সরকারের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
উল্লেখ্য, চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্ত্র কেনাবেচাসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
/এমএইচআর