চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ করেছেন কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এবং রেললাইনে বসে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তাদের বিক্ষোভে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। পরে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস।
তবে এসব যাত্রীদের কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রেলওয়ের কর্মকর্তা ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছার নির্ধারিত সময় রাত সাড়ে ৩টা। সে ট্রেন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। এই ট্রেনেরই প্রায় শতাধিক যাত্রী চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেন অর্থাৎ সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনে করে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য আগেই তারা টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু মহানগর এক্সপ্রেস দেরিতে পৌঁছায় তারা কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন মিস করেন। এরপর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা নেমেই রেলস্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা আটকে দেয় সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম স্টেশনমাস্টার আবু জাফর মজুমদার বলেন, ‘কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন রাত সাড়ে ৩টা চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছার কথা ছিল। তবে পৌঁছে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। এ কারণে এ ট্রেনের যাত্রীরা সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা নেমেই স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের কারণে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও প্রায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস।’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম স্টেশনে দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যেসব যাত্রী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন মিস করেছে তাদেরকে ১১ টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়।’