জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশপন্থিরা ছাড়া এ দেশে আর কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। আমাদের যারা সুশীল সমাজ, তারা স্বাধীনতার কথা বলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে জায়গা করে দিতে চায়। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, যারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট মোড়ের পিৎজা মিলান সেন্টারে জেলা এনসিপি আয়োজিত ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করে সরোয়ার তুষার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো পারবেই না, সেইসঙ্গে জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। গতকালের ঘটনার পর জিএম কাদেরের পুরনো ভিডিওগুলো ফেসবুকে আবারও আসছে। ভারত থেকে সফর করে এসে তিনি বলেছিলেন, “আমি ভারতে কাদের কাদের সঙ্গে মিটিং করেছি তা বলবো না। কিন্তু আমাকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।” তাহলে তারা তো ভারতের এজেন্ট। তারা বাংলাদেশপন্থি কোনও দল না। তারা বাংলাদেশের সাবভৌমত্বের জন্য হুমকি। তারা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
‘আওয়ামী লীগ একটি গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আর সেটার সহায়ক শক্তি জাতীয় পার্টি। এই জাতীয় পার্টির জন্য গতকাল ঢাকা শহরে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর একাংশ। নুরুল হক নুর আমাদের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি। তিনি হাসপাতালে এখনও ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আছেন। তার নাক, পিঠ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যেভাবে তাদের পার্টির অফিসের ভেতরে ঢুকে হামলা করা হলো, বেধড়ক পেটানো হলো, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতুল্লাহ, মেসবাহ কামাল, সদস্য মুফতি ইনজিমামুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক কামরুজ্জামান বুলু, যুগ্ম সমন্বয়ক এস কে আহসান উল্লাহ, অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান, জুলাই যোদ্ধা রাদিদ হাসান প্রমুখ।