গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৃথক ঘটনায় পোশাকশ্রমিকসহ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালিয়াকৈর থানা পুলিশ এবং মৌচাক ফাঁড়ি পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। রবিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট থানা ও ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মারিয়া আক্তার স্মৃতি (২১) এবং ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলোক ছবি গ্রামের খলিল মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৪০)।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে উপজেলার পূর্ব চান্দরা (মুন্সিরটেক) এলাকায় মুকুলের ভাড়া বাসা থেকে মারিয়া আক্তার স্মৃতি এবং আরাবাড়ী এলাকায় শামসুল হকের ভাড়া বাসা থেকে পোশাকশ্রমিক ফাতেমা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে দুই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার স্মৃতিকে নিয়ে কালিয়াকৈরে আসেন। স্বামী-স্ত্রী উপজেলার পূর্ব চান্দরা (মুন্সিরটেক) এলাকায় মুকুলের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। স্মৃতির স্বামী শহিদুল ইসলাম সেলুন ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। শনিবার দুপুরে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হলে স্বামী শহিদুল ইসলাম কাজে চলে যায়। পরে মারিয়া আক্তার স্মৃতি ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে আড়ার সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। সন্ধ্যায় তার স্বামী বাসায় এলে ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করে। সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে স্মৃতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্মৃতির মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে, কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার লোহাকুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে স্বামী মনির হোসেন স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরের আরাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এর আগে ফাতেমা আক্তারের আরও দুই বিয়ে হয়েছিল। মনির হোসেন তার তৃতীয় স্বামী। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক বিয়ে নিয়ে হয়তোবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। এর জেরে পোশাকশ্রমিক ফাতেমা আক্তার টিনশেড ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।