চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে চবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে জরুরি সভা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন জানান, দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বৈঠকে মোট ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকের মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবে। এ জন্য পাঁচ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি চিকিৎসা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি মডেল থানা স্থাপনের জন্য সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। একই সঙ্গে রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।’
উপ-উপাচার্য আরও জানান, এই সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হটলাইন সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা এলাকার বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্যও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রবিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা-ফতেপুর এলাকার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক উন্নয়নে ২১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।

















