নীলফামারীর উত্তরা রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) এভারগ্রিন পরচুলা কারখানায় মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব (২১) নামের এক নৈশপ্রহরী (শ্রমিক) নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. হাবিব সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, তিনি ইকো কোম্পানিতে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। তিনি সকালবেলা বাড়ি ফেরার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ শ্রমিক। তারা হলেন- মমিনুর (২৫), শাহিন (২৬), নুর আলম (৩০), মোস্তাক (২৬), লিপি (২৬), জামিলা খাতুন (৩৫) ও পথচারী রব্বানী (২৯)।
নীলফামারী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারহান তানভিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে নীলফামারী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইপিজেডের ভেনচুরা কারখানার সুপারভাইজার ও প্রত্যক্ষদর্শী মিলন বলেন, ‘এখানে সমস্যা এভারগ্রিনের না, সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা)। কারণ, কোম্পানি চালায় বেপজা। ইপিজেডের ভেতরের ১৬টি কোম্পানি আছে, তা একই নিয়মে চলতে হবে। কিন্তু এভারগ্রিন তার উল্টোটা করে। তার মানে বেপজার শেলটারে এভারগ্রিন অনিয়ম করে চলছে। তাই এ ঘটনায় বেপজা দায়ী।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তরা ইপিজেড থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা আসতে থাকে। তবে হাবিব নামের একজন শ্রমিক গুলিতে নিহত হয়। তার মরদেহ লাশঘরে রক্ষিত আছে। এ ছাড়াও সাত জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’