নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন পরচুলা কারখানার শ্রমিক হাবিবুর রহমান হাবিব (২১) নিহত হওয়ার ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সাত দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এনসিপি জেলা কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলটির উত্তরাঞ্চলীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘২৩ দফা দাবি আদায়ে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হাবিব নিহত হন। কার নির্দেশে কারা গুলি চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই উত্তরা ইপিজেড। এটি বন্ধকরণের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
৭ দফা দাবি হলো- শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে, কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কারখানাগুলোর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে, নিহত শ্রমিক হাবিবের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের ওপর কোনোরকম মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া যাবে না, গুলির নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করে তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে ও মানুষের প্রাণনাশ ঘটে এমন কোনও মারণাস্ত্র নীলফামারী জেলার কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপি জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সমন্বয়ক মোহায়মেনুল ইসলাম সানা, শাহ আব্দুল আজিজ ও আকতারুজ্জামান প্রমুখ।

















