রাজনীতি নিষিদ্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব এবং যুগ্ম আহ্বায়কদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশ থেকে এই মিছিল শুরু হয়।
জানা যায়, এ সময় ছাত্রদলের প্রায় ৭০-৮০ জন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের একটু দূর থেকে মিছিল শুরু করে প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এরপর তারা মিছিল নিয়ে গোলচত্বর থেকে প্রশাসনিক ভবনের পাশ দিয়ে ঘুরে প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি করে। এতে ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার, আতিকুর রহমানসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।
রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে মিছিল করার কারণ জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিল না। আমাদের একটা বোনকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ করেছি আমরা। যদিও ছাত্রদলের ব্যানারে আমরা মিছিল করেছি তবে এটা কোনও রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে সবার উচিত এমন ঘটনার প্রতিবাদ করা।’
সদস্যসচিব মুস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য আমরা গত এক বছরে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু তারা কোনও উদ্যোগ নেয়নি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ব্যানারে কোনও প্রোগ্রামকে আমরা যৌক্তিক হিসেবেই দেখি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল ফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। তারা আমাদের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। আমরা আগামীকাল (বুধবার) এগারোটায় এ বিষয়টি নিয়ে মিটিং ডেকেছি। মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

















