প্রায় ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বেদখল থাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার ৪ একর ৭ শতাংশ জমি অবশেষে বুঝে পেয়েছে পুলিশ।
গত শনিবার (৩০ আগস্ট) থানার জমি অবৈধভাবে দখল করে থাকা ১৩টি পরিবার জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কোটালীপাড়া থানা তাদের জমি বুঝে পায়।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে কোটালীপাড়া থানা ভবনের পাশের পরিত্যক্ত জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসতবাড়ি গড়ে তোলে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। আশ্রয়কৃত পরিবারগুলো তখন থানার বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে দিনমজুরিতে কাজ করতো। আশ্রয় নেওয়ার কয়েক বছর পর থেকে তাদের আত্মীয়স্বজনরাও থানার জমি দখল করে বসতবাড়ি গড় তোলে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকে থানা কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তাদের নোটিশ করে জমি ছেড়ে দিতে। কিন্তু বিগত দিনে তারা জমি না ছাড়তে গড়িমসি করে। কিছুদিন আগে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জমি ছেড়ে দিতে বললে তারা গত শনিবার দখল করা জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে মঙ্গলবার কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাদের বেদখল থাকা ৪ একর ৭ শতাংশ জমি বুঝে পায়।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে কথা হলে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের জমি দীর্ঘদিন পরে বুঝে পেয়েছি। এতে করে আমাদের থানার আরও ৪ একর জমি আমাদের কাছে ফিরে এলো। আমাদের ফোর্সের আবাসনসংকট রয়েছে। যার ফলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা মানবেতর দিনযাপন করছেন। জমিসংকট ও বেদখল থাকায় আমরা ভবন তৈরি করতে পারছি না। এখন জমি যেহেতু আমরা বুঝে পেয়েছি আমাদের সদস্যদের জন্য আবাসস্থলসহ প্রয়োজনীয় কাজে জমি ব্যবহার করতে পারবো।’

















