বগুড়া জেলা কারাগারের সেলের ছাদ কেটে প্রাচীর ডিঙিয়ে পালানো মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার কয়েদির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বর্তমানে গাবতলী থানার ওসি সেরাজুল হক এ তথ্য দিয়েছেন।
পালানোর পর গ্রেফতার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৩৮), বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ইসমাইল শেখ চাঁদ মিয়ার ছেলে ফরিদ শেখ (২৮) ও বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট পূর্বপাড়ার বিএনপি সমর্থিত সাবেক কাহালু পৌর মেয়র আবদুল মান্নান ওরফে ভাটা মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩১)।
জাকারিয়া কাহালুর নারহট্ট ইউনিয়নের রোস্তমচাপড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শিশু নাইমুর ওরফে নাইমকে মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা ও লাশ ইটভাটায়
পুড়িয়ে দেওয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। এছাড়া নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ও আমির
হোসেন চারটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত উল্লিখিত চার কয়েদিকে বগুড়ার জেলা কারাগারের জাফলং সেলের ২নং ওয়ার্ডে রাখা হয়। ২০২৪ সালের ২৬ জুন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে যেকোনও সময় তারা সেলের ছাদ কেটে বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে কারাগারের প্রাচীর ডিঙিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাত ৪টার দিকে শহরের করতোয়া নদীর পাশে চাষি বাজারে জনগণ তাদের আটক করেন। খবর পেয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই খোরশেদ আলম রবির নেতৃত্বে ফোর্স তাদের গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে জেলা কারাগারের তৎকালীন জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল সদর থানায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কারাগার থেকে চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও ডিআইজি প্রিজন পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় প্রধান কারারক্ষী দুলাল হোসেন, কারারক্ষী আবদুল মতিন ও কারারক্ষী আরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার হয়েছিল। সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ইন্সপেক্টর সেরাজুল হক চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন।

















