চট্টগ্রামে জশনে জুলুস র্যালিতে অসুস্থ হয়ে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে ভিড়ে চাপা পড়ে আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম আশিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জশনে জুলুস উপলক্ষে র্যালিতে প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
অপরদিকে, জশনে জুলুস উপলক্ষে র্যালিতে মুরাদপুর এলাকায় মানুষের ভিড়ের মধ্যে চাপা পড়ে আরও দুজন আহত হন। এর মধ্যে একজনের নাম মাহফুজ (৩৫)। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২নং ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। আহত আরেকজনের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। অজ্ঞাত ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আঞ্জুমানের স্বেচ্ছাসেবক মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘জুলুসে প্রচণ্ড ভিড়ে চাপা পড়েছিল বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে আহত পাঁচ জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের মধ্যে দুজন ১১-১২ বছর বয়সী শিশু রয়েছে।’
এদিকে, শনিবার সকাল ১০টায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জশনে জুলুস শুরু হয়। এ বছর জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্। এতে উপস্থিত আছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ। সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ ও আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এ জুলুসের আয়োজক সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এবং সার্বিক সহযোগিতা করে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া থেকে সকাল ১০টায় শুরু হয়। সেখান থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর-২ নম্বর গেট-জিইসি মোড় হয়ে পুনরায় ২ নম্বর গেট-ষোলশহর-মুরাদপুর-বিবিরহাট-জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন জুলুস ময়দানে জমায়েত হয়। সেখানে মাহফিল এবং জোহরের নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

















