শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিচার বিভাগসহ সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছেন শেখ হাসিনা।’
রবিবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সংকটকালীন বাংলাদেশের পাশে থাকায় বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ, সংকটকালীন তারা আমাদের সহায়তা করেছে। বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। দুই সপ্তাহ হলো বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তিনি দেশে থেকে পালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য ছাত্র-জনতা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শত শত মানুষ মারা গেছে, হাজার হাজার মানুষ আহত। আমি আশা করি আপনারা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। অনেক শিক্ষার্থী বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন, অনেকের চোখে রাবার বুলেট লেগেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তরুণদের সম্মান জানাই যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের জন্য তারা এই আত্মত্যাগ করেছেন। বৈষম্যহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ চায় তরুণ সমাজ। আমি দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, তবে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, পাতানো নির্বাচন করা হয়েছে। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তরুণ সমাজ বেড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে।