Swadhin News Logo
রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

‘এআই দিয়ে তৈরি পূজামণ্ডপে হামলা ও মূর্তি ভাঙচুরের ছবি ছড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকে’

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ
‘এআই দিয়ে তৈরি পূজামণ্ডপে হামলা ও মূর্তি ভাঙচুরের ছবি ছড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকে’

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ‘এখন এআই দিয়ে তৈরি পূজামণ্ডপে হামলা বা মূর্তি ভাঙচুরের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এরকম ভিডিও দেখলে আগে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। তারা এটা নিয়ে আপনাদের ভেতরের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চায়। সামাজিক বন্ধন দুর্বল করতে চায়। এই সমস্ত ব্যক্তিরা এবার বেশি সোচ্চার থাকবে। এই সময় তারা এটা ইউজ করবে। পূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা এটা ব্যাপক আকারে দেখতে পারবেন। তারা প্রিপারেশন নিচ্ছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে। এরকম প্রোপাগান্ডা দেখলে আগে সত্যতা যাচাই করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যারা আপনাদের উল্টো বিশ্বাস করায়, তারা আগেও শান্তি চায়নি। এখনও চায় না, ভবিষ্যতেও চাইবে না।’

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মৌলভীবাজার মডেল  থানা অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা কথায় কথায় বলি মাইনোরিটি গ্রুপ বা সংখ্যালঘু। এই শব্দগুলো সমাজে বিভেদ তৈরি করে। এগুলো আমাদের অভিধান থেকে মুছে ফেলতে হবে। বাংলাদেশে সবাই সমান। তাহলে কেন কাউকে সংখ্যালঘু বলে আলাদা করা হবে? যারা এসব শব্দ ব্যবহার করে, তারা কখনও বাংলাদেশের ভালো চায় না। তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলে।’

তিনি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রে সব ধর্মের মানুষ থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। মাইনোরিটি শব্দ ব্যবহার মানে আগে থেকেই কারও মনোবল দুর্বল করে দেওয়া। যারা এ ধরনের কথা বলে, তাদের থেকে দূরে থাকুন। তারা দেশ ও সমাজের মঙ্গল চায় না।’

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা যত আধুনিক হচ্ছি, ততই হানাহানির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দেখা যায়, পূজামণ্ডপে হাত দেওয়া বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে অথচ ১৫-২০ বছর আগে এমনটা ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে অধিক সাহসিকতার সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গোৎসব পালন করতে পারেন- সে বিষয়ে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। হিন্দু ভাইদের যাতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে না হয় সে বিষয়ে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে কখনও ছাড় দেওয়া হবে না। সবাই তৎপর থাকলে দুষ্কৃতিকারীরা কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।’ 

মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি সার্বজনীন দুর্গা পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতিরাতাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক