ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার এক যুগ পর মামলা করা হয়েছে। জেলা জামায়াতের সাবেক দফতর সম্পাদক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফেনী মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ আট জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ জনকে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, বর্তমান সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, যুবলীগের সহসভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহসভাপতি জিয়াউল আলম ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে শহরের শান্তি কোম্পানী রোডে অবস্থিত জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আসামিরা গেট ভেঙে প্রবেশ করে গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা অফিস ভাঙচুর করে, গ্যারেজে থাকা নোহা গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৭৪৫৪) ও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিনসহ বইপত্রে আগুন লাগানো হয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গেলে শান্তি রোডে তাদের আটকে দেওয়া হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামায়াতের জেলা প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম অভিযোগ করেন, ঘটনার পরেও মামলা হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে বিচার প্রক্রিয়ায় সেটি এগোতে দেয়নি।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা আমাদের কার্যালয়ে আগুন দিয়ে বইপত্র, গাড়ি ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে।