ফরিদপুর সদর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড দখলে নিতে হামলা চালিয়ে ১৬টি মাহিন্দ্রা ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান ও তার সহযোগী আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ওয়্যারলেস পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর জেলা মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় যুবদল নেতা মাসুদুর রহমানকে ৬ নম্বর এবং আনন্দ শুভ্র রায়কে ৭ নম্বর আসামি করা হয়। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে ১৬টি মাহিন্দ্রা ভাঙচুর করেন জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের পক্ষের লোকজন। ভাঙচুরে বাধা দিলে ১০ জন চালককে মারধর করেন হামলাকারীরা। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই সাহেব আলী বাংলা ট্রিবিউনকে, ‘এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
ফরিদপুর জেলা মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম ও মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে স্ট্যান্ড থেকে প্রতিটি ট্রিপে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। গত ১৫ দিন ধরে মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রী ওঠানো নিয়ে তর্কাতর্কির অজুহাতে স্ট্যান্ডে হামলা চালানো হয়। স্ট্যান্ডটি দখলে নিতে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডে এ হামলা চালান জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের পক্ষের লোকজন।