রাজশাহীতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। তারা বাসের যাত্রী ছিলেন। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পবা উপজেলার নওহাটা পৌর এলাকার রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। বাসটি উল্টে দুমড়েমুচড়ে গেছে। এটি নওগাঁ থেকে রাজশাহীতে যাচ্ছিল। ট্রাকটি নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার পর ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে উদ্ধার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম কাজল (২৫)। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের নৃপেণ চন্দ্রের ছেলে। তিনি রাজশাহী কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। এছাড়াও গুরুতর আহতরা হলেন, মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের উষা (৩৫) ও তার ছেলে তুষার, মেহেরচণ্ডি এলাকার শিউলী (৪০) তার মেয়ে রুমানা (১৪)। এছাড়াও বাসের চাল পাবনার মুলাডুলি এলাকার আবদুল মতিনের ছেলে জমিরুল ইসলাম (৫০) গুরুত্বর আহত হন।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নওগাঁ থেকে রাজশাহীগামী বাসের সঙ্গে নওগাঁগামী ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি সড়কের ওপর উল্টে যায়। এতে অন্তত ২০ জনের বেশি আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে রেখে অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
নিহত কাজলের বন্ধু সৌরভ দাস বলেন, আমরা দুজন পাশাপাশি সিটে বসা ছিলাম। বাস উল্টে যাওয়ায় কাজল নিচে পড়ে যায়। এতে চাপা লাগে। আর আমি বাসের ভেতরে ছিলাম। পায়ে আঘাত লেগেছে আমরা।
পবা নওহাটা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর নিরঞ্জন সরকার বলেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিন জনকে আমাদের গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। অন্যরা কমবেশি আহত হয়েছেন।













