বরগুনায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। সর্বশেষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হৃদয় হাওলাদার (২৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি মারা যান। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে।
জানা গেছে, হৃদয় হাওলাদার বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার খাসতবক গ্রামের বঙ্কিম হাওলাদারের ছেলে। তিন দিন আগে সামান্য জ্বর নিয়ে বামনার রুহিতা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে শনিবার বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আরও অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পথে রাজাপুর এলাকায় হৃদয় মারা যান।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৭ জন। তালতলী ৯ বামনা ৪ এবং পাথরঘাটায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৪০ জন।
এ বছর জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ২১৪ জন। এ ছাড়া বরগুনার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ১১ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বরগুনার বাইরে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছেন আরও ৪৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে।
বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘বর্তমান সময়টা ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কথা, তবে আমরা তার বিপরীত দেখছি। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে আমাদের বরগুনা হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ না থাকায় রোগীর কন্ডিশন একটু খারাপ দেখলেই রেফার্ড করতে হয়। আর যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ডেঙ্গুর পাশাপাশি অন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কবে নাগাদ ডেঙ্গু নির্মূল হবে তা বলা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে সবাইকে সচেতন থাকা ছাড়া আর কোনও বিকল্প দেখছি না।’