চট্টগ্রামে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এক ফিশিং বোট মালিকসহ ১৮ জন জেলে ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজ জানতে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে ধরনা দিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় ওই ফিশিং বোট মালিক আলী আকবরের স্ত্রী চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ থানায় একটি জিডি করেছেন।
নৌ পুলিশ বলছে, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান পেতে কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে পুলিশও কাজ করছে।
নিখোঁজ জেলেরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ফিশারিঘাট থেকে ‘এফ বি খাজা আজমীর’ নামে ফিশিং বোট নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না ফেরায় চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা।
২৪ সেপ্টেম্বর সদরঘাট নৌ থানায় সেলিনা আক্তারের করা জিডিতে উল্লেখ করেন, তার স্বামী আলী আকবর (৪৯) দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নিজের মালিকানাধীন ‘এফ বি খাজা আজমীর’ নামে ফিশিং বোটটি নিয়ে তার স্বামী মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় সাগরে বের হন। এরপর থেকে বোটের মাঝি আবু তাহের (৫৫), স্টাফ জামাল (৪৫), বাবুর্চি রুবেলসহ (৩৫) ১৪-১৫ জন স্টাফসহ নিখোঁজ রয়েছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বামীর সঙ্গে সেলিনার সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত নম্বরসহ অন্য স্টাফদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায় বলে তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন।
সেলিনা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার স্বামীসহ মোট ১৮ জন শিফিং বোট নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সাগরে মাছ ধরতে গেছেন। তারা প্রায় সময় সাগরে মাছ ধরতে যান। প্রতি বারই এক সপ্তাই কিংবা ১০ দিন পর সাগর থেকে ফিরে আসেন। আজ ১৭ দিন হয়ে গেছে তারা ফিরে আসেননি। তাদের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। তাদের কোনও বিপদ হয়েছে কিনা, তাও বুঝতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীসহ ১৮ জন সাগর থেকে ফিরে না আসায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর সদরঘাট নৌ থানায় জিডি করেছি। আজ (মঙ্গলবার) আমি নিজেই কোস্টগার্ডের কাছে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্থ করেছেন।’
এ প্রসঙ্গ সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েই নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কয়েকজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেদিন তারা কর্ণফুলী নদী থেকে যাত্রা করেছেন, ওইদিনই সর্বশেষ মহেশখালী মাতারবাড়ি পর্যন্ত তাদের মোবাইলগুলো সচল ছিল। এরপর থেকে মোবাইলগুলো বন্ধ রয়েছে। তাদের সন্ধানে দেশের প্রতিটি থানায় বার্তাও পাঠানো হয়েছে।’