Swadhin News Logo
বৃহস্পতিবার , ২ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

পবায় পয়োনিষ্কাশনের পাইপ লাইন বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ২, ২০২৫ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ
পবায় পয়োনিষ্কাশনের পাইপ লাইন বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৫

রাজশাহীর পবা উপজেলার শাহমখদুম থানাধীন ডাংগিপাড়া এলাকায় পয়োনিষ্কাশনের জন্য পাইপলাইন বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে আল-জামি’আহ আস-সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসা সংলগ্ন জমিতে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম, মেরাজ উদ্দিন, নূর সালেহ, সাজেদা বেগম, আজগর আলী (৬৪), শওগত আলী (৪৫), সবুজ ইসলাম (৪০), ফায়সাল হোসেন (২৮), আজিম উদ্দিন (২৩), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), শারামন বেগম (৫৫) ও সোনারুল ইসলাম (৪০)।

আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের মাথা ও বুকে আঘাত গুরুতর। সাজেদা বেগমের পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম ও মেরাজ উদ্দিন জানান, তাদের নতুন নির্মিত বাড়ির পয়োনিষ্কাশনের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। তাই স্থানীয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার মাদ্রাসার সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে মাটির নিচ দিয়ে পাইপলাইন বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার সকালে তারা কাজ শুরু করলে মাদ্রাসার নাইটগার্ড সাজ্জাদ ও তার আত্মীয়রা বাধা দেন।

তাদের অভিযোগ, পূর্বের পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং দেনা-পাওনার জেরে সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। পরে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের আগে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলে।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত আশরাফুল বলেন, ভুক্তভোগী পক্ষের লোকজন একতরফা অভিযোগ করছেন। মূলত তারা অনুমতি ছাড়াই সাজ্জাদের জমির ভেতর দিয়ে পাইপ বসানোর চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমাদের পক্ষের আজগর আলী ও শওকত আলীও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোল্লা ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক পাইপ বসানোর চেষ্টা চলছিল। এই পাইপলাইনটি একটি প্রতিষ্ঠানের ড্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বারনই নদীতে গিয়ে মিশবে। এতে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা রয়েছে।

তারা আরও দাবি করেন, ঘটনাস্থলে বহিরাগত কয়েকজনও এসে মারধর ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন।

আল-জামি’আহ আস-সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসার ম্যানেজার ফরিদ বলেন, মেরাজ ও সেরাজুল আমাকে এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন তাদের বাড়ির পাইপলাইন যেন মাদ্রাসার ট্যাংকির সঙ্গে যুক্ত করা যায়। আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম। তবে পাইপ লাইনের একটি অংশ সাজ্জাদের জমির ওপর দিয়ে যাওয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধ থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শাহমখদুম থানার ওসি মাছুমা মুস্তারী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমাদের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয়পক্ষের একাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা চাইলে অভিযোগ বা মামলা করতে পারবেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বিরোধের সুষ্ঠু সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক