বাগেরহাটে এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২) নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত হায়াত উদ্দিন স্থানীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। হায়াত উদ্দিন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালি এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
হায়াত উদ্দিনের মৃত্যুতে স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও সচেতন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বাগেরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর স্পট পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার সময় সেখানের দোকানপাট বন্ধ ছিল। খুলনায় হাসপাতালে তার মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তবে কারা মেরেছে, কী কারণে মারা গেছে সে বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে।’
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘হায়াত পুরোপুরি সাংবাদিক ছিলেন। পাশাপাশি যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কোনও পদপদবি ছিল না।’