চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর অলিনগর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জঙ্গল সলিমপুরের লোহারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় এখন টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি হোসাইন জিয়াদ এবং ক্যামেরাপারসন মো. পারভেজ গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
আহত মো. পারভেজ বলেন, ‘তারা অস্ত্র ও গাছের টুকরো দিয়ে আমাদের আঘাত করেছে। মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ভেঙে দিয়েছে ক্যামেরা। পরে আমাদের জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। আমরা কোনও রকমে সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসি।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরে হামলায় আহত দুই সাংবাদিককে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে মাথায় আঘাত থাকায় সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদকে ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অপরজনকে ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ বলেন, ‘শনিবার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হন। রবিবার ওই ঘটনার ফলোআপ সংবাদ করতে সলিমপুরে গেলে ৩০-৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ ক্যামেরাপারসন পারভেজ আহত হই।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ইয়াছিন ও রোকন-গফুরের নেতৃত্বাধীন দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামরাপারসন পারভেজের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে)। বিকালে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সিএমইউজের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, রবিবার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এখন টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপারসন পারভেজ হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা দুই সাংবাদিকের ক্যামরা ভাঙচুর করেছে এবং টাকা ও ক্রেডিট কার্ডসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।