নরসিংদী পৌর শহরের আরশীনগরে গণপরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের সময় আটক দুই জনকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে নরসিংদী মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একাধিক টিম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার আরশীনগরে নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রাতেই নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার মাহমুদুর রশিদের ছেলে ফজলুল রশিদ ওরফে আদর (৪০) ও হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), বৌয়াকুর এলাকার শওকত মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২২), শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও এলাকার শামসুল হক খন্দকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৪), বালিয়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শান্ত মিয়া (২৩) এবং সদরের হাজীপুর এলাকার বিরাজ খার ছেলে কুদরত হাসান (২৩) ও মো. রকিব খাঁ (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকালে এএসপি আনোয়ার হোসেন আট পুলিশ সদস্য নিয়ে শহরের বীরপুর এলাকা থেকে ফিরছিলেন। বেলা ১১টার দিকে আরশীনগর মোড়ে অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে দেখতে পেয়ে তিনি গাড়ি থামান। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের সহযোগীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান। হামলায় এএসপি আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মেনহাজুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলার পর শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’