গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় আবাসিক হোটেলে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চন্দ্রা আব্দুল মান্নান প্লাজার আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান। নিহত কিশোরী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গ্রেফতার যুবকের নাম মমিনুল ইসলাম মোহন (২২)। সে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার উত্তর সাজুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। কিশোরী ও গ্রেফতার যুবক আশুলিয়া থানা এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে মোহনকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তিন বছর ধরে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বলে দাবি করেছে মোহন। তারা আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। হোটেলে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে শুরু করলে মোহনের এক সহযোগী ভুক্তভোগীকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা করায়। তবে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। ওই রাতেই কিশোরীকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরে অ্যাম্বুলেন্সচালক গাড়ি ঘুরিয়ে মির্জাপুর থানায় নিয়ে যান। পরে মোহন ও তার সহযোগীকে আটক করে কালিয়াকৈর থানায় খবর দেয় পুলিশ। শুক্রবার বিকালে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মির্জাপুর থানা থেকে লাশ উদ্ধার এবং দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে মোহনকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তার সহযোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’