চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ তিন শ্রমিকের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার নাম শওকত (২৫)। তিনি নগরীর পতেঙ্গা থানার বাসিন্দা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার সকাল ১০টায় চমেক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড সংলগ্ন ভবনের ছাদে এসির কমপ্রেসর মেরামত কাজ করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহত শওকত বিস্ফোরণের সময় ৭ তলা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং গুরুতরভাবে মাথায় ইনজুরি হয়। আইসিইউতে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণে শওকতসহ তিন জন দগ্ধ হন। বাকি দুই জন হলে- নগরীর চকবাজার থানাধীন ডিসি রোডের কালাম কলোনির লোকমানের ছেলে তানভীর (৩০) ও বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে মিশকাত (১৮)।
তিন জনই গণপূর্ত অধিদফতরে ঠিকাদারের অধীনে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত। আহতদের মধ্যে শওকতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে দুর্ঘটনার পর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বাকি দুই জনকে চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ সকালে হাসপাতালের ছয়তলা ছাদের ওপর এসি সার্ভিসিং করার সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গণপূর্ত অধিদফতরে কর্মরত তিন জন শ্রমিক দগ্ধ হন। আহতদের মধ্যে শওকত নামে একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৪টায় মারা যান। বাকি দুই জন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনায় হাসপাতালের কোনও রোগী বা ওয়ার্ডের কেউ হতাহত হননি বলে জানান তিনি।