চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা জাল ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ও বামপন্থি সমর্থিত ‘দ্রোহ পর্ষদ’ প্যানেল।
এ নিয়ে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের সামনে হট্টগোল বাধে।
ছাত্রদল ও দ্রোহ পর্ষদের প্রার্থী দাবি করেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা ছিল ৯টায়, কিন্তু সেটি শুরু হয়েছে সাড়ে ৯টায়। কিন্তু ৪টা বাজতেই কর্তৃপক্ষ অনুষদের একটি গেট বন্ধ করে দেয় এবং ছাত্রীর সংস্থার কর্মীদেরকে সেখানে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। অনেকেই ভোট দিতে পারেননি।
এক নারী ভোটার অভিযোগ করেন, তিনি কেন্দ্রে গেলেও তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। কেন আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি জিজ্ঞেস করলে একজন শিক্ষিকা আমাকে বলেন, তুমি ওপরের কর্তৃপক্ষের কাছে যাও।’
নির্বাচন আচরণবিধি মনিটরিং সেলের প্রধান আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘৪টায় নির্বাচনের সময় শেষ হয়ে গেছে এবং যারা ভোট দিতে পারেনি- তাদেরকে ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’