১৭ বছর আগে কুড়িগ্রামে নিজ বসতঘর থেকে ৫০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার হওয়া এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তারিকুর রহমান তারিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম ইব্রাহিম খলিল মণি (৪৫)। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের সোনালীকুটি গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। তিনি মাদক ব্যবসায়ী বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে। জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর আসামি ইব্রাহিম খলিল মণিকে নিজ বাড়ি থেকে ৫০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি পলাতক থাকেন। চার্জশিটে মণিসহ জাহাঙ্গীর আলম নামে আরও এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি ও তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অপর আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তারিকুর রহমান তারিক জানান, অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোছাম্মৎ ইসমত আরা এই রায় প্রদান করেন।