রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অনলাইনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে প্যানেলটি।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির বহিরাগতরা প্রবেশ করছে এবং অনলাইনে আমাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান-উল্লাহ আমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও ক্যাম্পাসে বসেই এসব করছে। জামায়াত নাকি অস্ত্রের ট্রেনিং দিচ্ছে, ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির বহিরাগত প্রবেশ করাচ্ছে- এরকম প্রচার ছাত্রদল চালাচ্ছে এবং ছাত্রদলের সভাপতি নিজের আইডি থেকে ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে নীতিমালা ভঙ্গ করে দেয়াল লিখন হয়েছে। সারাদিন যেসব অনিয়ম হচ্ছে, এগুলোতে শৈথিল্যতা দেখানো হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে বহিরাগত প্রবেশ করছে। কিন্তু প্রশাসন এই বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ। সকালের দিকে ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের চিরকুট নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এর পরপরই ডিনস কমপ্লেক্স, রবীন্দ্র ভবন ও জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের চিরকুট নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। অথচ গতকালই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, প্রচারপত্র ও চিরকুট নিয়ে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
ফাহিম রেজা বলেন, ছাত্রদল এবং আধিপত্য বিরোধী ঐক্য- প্যানেল নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রের ১০০ গজের ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। খালেদা জিয়া হল এবং হবিবুর রহমান হলের ভোট কেন্দ্রের সামনে তারা আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে কয়েকটি স্থানে বুথ নির্মাণ করেছে। এটি নির্বাচনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে ব্যাহত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, এজিএস পদপ্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির-সহ অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।