বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে ‘ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের’ আলোচনা সভায় যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। একই প্রোগ্রামে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন ফাউন্ডেশনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জোবাইদা রহমান। এই ক্যাম্প থেকে প্রায় ৭ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা নেন। এই ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে দেশের প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দেন।
সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান বলেছেন, ‘নেতাকর্মীদের জনগণের সেবক হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে ওঠাই হবে আগামী রাজনীতির পরিকল্পনা।’
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে ‘ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের’ আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জোবাইদা রহমানের পরামর্শ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গ্রামের বাড়ির ডিগ্রি কলেজ মাঠে মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ডা. জোবাইদা রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, দেশের প্রায় শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই স্পেশাল চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবায় অংশ নেন। এতে প্রায় সাত হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন।
বিকালে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার, বিএনপির
মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, গাবতলি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টন প্রমুখ।
এ সময় কেন্দ্রীয় ও জেলা জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে শুরু হওয়া মেডিক্যাল ক্যাম্প চলে দুপুর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে বিকালে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বক্তব্যে বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ বিভিন্ন সেক্টরে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হবে তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’ স্বাস্থ্য সেবার ওপর চাপ কমাতে ও ভালো চিকিৎসা সেবা দিতে তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ার ক্ষেত্রে হেলথ কেয়ারারের বিষয়টির গুরুত্ব দেন।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজনীতিকে এমনভাবে গড়তে হবে যেন বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়ানো যায়। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়ানো যায়। জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর হতে হবে। এটিই হবে বিএনপির আগামীর রাজনীতির পরিকল্পনা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে।’

















