সিলেটের জৈন্তাপুরে চোরাকারবারিদের হামলা ঠেকাতে গুলি চালিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় আলমাস মিয়া নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে চারাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমাস উদ্দিন (৩০) জৈন্তাপুরের চারিকাটা ইউনিয়নের সরুখেল পূর্ব গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে। হামলাকারীদের আক্রমণে একজন বিজিবি সদস্য আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে জকিগঞ্জ ১৯ বিজিবির অধীন সুরাইঘাট বিওপির একটি টহল দল ভিত্তিখাল সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় টহলদল একটি অবৈধ পণ্যবাহী পিকআপ আটক করে। তখন অজ্ঞাতনামা একদল সশস্ত্র চোরাকারবারি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটাসহ টহল দলের ওপর হামলা চালায় এবং আটককৃত মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের আক্রমণ থেকে সরকারি সম্পদ (অস্ত্র ও গোলাবারুদ) ও টহলদলের সদস্যদের জানমাল রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলাকারীদের আক্রমণে একজন বিজিবি সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তবে আলমাস উদ্দিন নিহতের বিষয়ে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বিকাল ৫টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, গুলিতেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে কার গুলিতে মারা গেছেন, তা তদন্তে ঘটনাস্থলে যাবো আমরা। এরপর বিস্তারিত জানানো হবে।’