Swadhin News Logo
বৃহস্পতিবার , ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমাম পঞ্চগড়ে উদ্ধার, দুই পা শিকল দিয়ে কলাগাছে বাঁধা ছিল

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ২৩, ২০২৫ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমাম পঞ্চগড়ে উদ্ধার, দুই পা শিকল দিয়ে কলাগাছে বাঁধা ছিল

গাজীপুরের টঙ্গীর বিটিসিএল টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে (৬৫) পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দুই পা শিকল দিয়ে একটি কলাগাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বুধবার সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হন। 

এ ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে। দুপুরে জেলা শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে পঞ্চগড় ঈমান আকিদা রক্ষা কমিটি।

পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর পঞ্চগড় সদরের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমাম শিহাব উদ্দিন। তিনি কাছে গিয়ে দুই পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা দেখতে পান। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনকে ডাকাডাকি করলে বেশ কয়েকজন জড়ো হন। এরপর ফেসবুকে ছবি দেখে ওই ব্যক্তি মুহিবুল্লাহ মিয়াজী বলে বুঝতে পারেন। পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে দুপুরে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুহিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ‘বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে হাঁটতে বের হই। কিছুক্ষণ পর একটি অ্যাম্বুলেন্স আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে চার-পাঁচজন নেমে আমার মুখে কী যেন ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। এরপর কালো কাপড় দিয়ে আমার চোখ বেঁধে ফেলে। পরে অনুভব করি যে কাচের বোতলে পানি ভরে আমাকে মারধর করছে। আমার আগের অপারেশনের (অস্ত্রোপচার) জায়গাগুলোতে তারা আঘাত করেছে। মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। মোবাইলটা নিয়ে গেছে। আমাকে ধরে আনা লোকজনকে বাংলাদেশি নাগরিক মনে হয়নি। তারা প্রমিত বাংলায় কথা বলছিল।’

মুহিবুল্লাহ মিয়াজী জানান, ১১ মাস ধরে তাকে বেনামি চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এসব চিঠিতে অখণ্ড ভারত ও ইসকনের পক্ষে কথা বলতে বলা হয়। বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো ও বিএনপি-এনসিপির বিরুদ্ধে কথা বলতে বলা হয়। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবরের চিঠিতে তাকে কোরআন, ইসলাম, আল্লাহ শব্দ বলতে নিষেধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‌‘সকাল পৌনে ৭টার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তখন পুরোপুরি অচেতন ছিলেন না। তবে বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকায় ভালোভাবে কথা বলতে পারছিলেন না। চিকিৎসা দিলে সকাল ৯টার পর থেকে ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন। তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ ছাড়া আগে দুটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর মতো তেমন আলামত পাওয়া যায়নি। মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এখন শঙ্কামুক্ত আছেন।’

জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, ‘বুধবার মুহিবুল্লাহ মিয়াজী নিখোঁজের পর টঙ্গী থানায় একটি ডায়েরি করা হয়েছে বলে জেনেছি। ইতিমধ্যে টঙ্গী থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশের একটি দল ও তার স্বজনরা পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত