বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বিএনপি না ভোটে গেলে গণভোট আয়োজন অর্থহীন হবে। ফলে গণভোটের রায় নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হবে। এজন্য গণভোটের বিষয়টি বাস্তবিক অর্থে ভেবে দেখা উচিত। যারা বলছে বিএনপির না বলার কোনও পথ নেই, কাবিননামায় সই করেছে; তাদের এমন মন্তব্য অশ্লীল। হ্যাঁ ভোট আর না ভোট নিয়ে বিএনপি ছাড়া যারা কথা বলছে তারা মানসিক ভারসাম্যহীন।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত যেসব সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে, সেখানে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট আমলেই নেওয়া হয়নি। আরও কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এসব কারণে ঐক্যের জায়গায় অনৈক্য তৈরি হয়েছে। বিশ্বে এমন কোনও নজির নেই, যেখানে পার্লামেন্টে আলোচনা ছাড়া এমন বিষয় জোর করে আদায় করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা গণহত্যা চালিয়ে টাকা লুট করে দেশ থেকে পালিয়েছে, তারা তো চায় না নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। এমনকি অনেক দেশ আছে যারা এই নির্বাচনকে সহজে গ্রহণ করতে পারছে না। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন আওয়ামী লীগ ছাড়া কীভাবে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ভালো, গ্রহণযোগ্য, সঠিক একটি নির্বাচন হোক তাতে একটি গোষ্ঠী বা মহল বাধা দিচ্ছে। তবে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন নেই।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম রতন ও আসিরুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির আর ‘না’ বলার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল ‘হ্যাঁ’ ভোটের মধ্য দিয়ে। এবার যদি তারা ‘না’ ভোটে অনড় থাকে তাহলে দলটির মৃত্যু হবে ‘না’ ভোটের মধ্য দিয়ে। তবে বিএনপি একটি বড় দল। তারা যেন ‘না’ ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেদের কবর রচনা না করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। সভায় নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, বিএনপির ‘না’ বলার আর কোনও পথ নেই। কারণ, তারা ইতিমধ্যে ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছে। তারা ‘বিবাহে রাজি হয়েছে, কাবিননামায় সইও’ করেছে। এখন তাদের ‘না’ বলার সুযোগ নেই। তাদের এটা আগেই ভেবেচিন্তে করা উচিত ছিল।

















