রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাস অনেক লম্বা এবং এ লম্বা ইতিহাসে যারা সুবিজ্ঞ ও দূরদর্শী আছেন, আমাদের জন্য তাদের জীবনের শিক্ষণীয় অনেক বিষয় রয়েছে। সেই বিষয়গুলো আমরা জেনেছি বই পড়ে। বই না পড়লে এটা জানতে পারতাম না।’
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত এবং বিভাগীয় প্রশাসন বাস্তবায়িত নয় দিনব্যাপী বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘পাঠ্যবই কিন্তু পড়তে ভালো লাগে না। আবার ওই পাঠ্যবই যদি একজন শিক্ষক মজা করে পড়ান, তাহলে সেই বিষয়টা সবচেয়ে ভালো লাগে। তাই শিক্ষক সমাজের কাছে আমার আবেদন হলো, পড়াটাকে আনন্দের একটি অনুষঙ্গ বানান।’
সভায় কোনও কোনও বক্তা বইমেলা ৯ দিনের জায়গায় ১৫ দিন করার দাবি জানান। বিভাগীয় কমিশনার ওই দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বইমেলা ১৫ দিনব্যাপী করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রেজাউল আলম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হামিদুল হক, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম।
এর আগে অতিথিরা বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা মেলা মঞ্চে পরিবেশন করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ছুটির দিন বাদে মেলা চলবে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে শুরু হবে বেলা ১১টায়।
এই মেলায় ১১টি সরকারি দফতর এবং ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকাশিত পুস্তকের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করবে। শিশুদের জন্য থাকবে শিশু কর্নার এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এবারের বইমেলাতে বিশাল মূল্যছাড় ছাড়াও থাকছে লেখক ও পাঠক আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা। এ ছাড়াও বই কিনতে অসমর্থদের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র দেবে বই বদলের সুযোগ। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টল থেকে দরিদ্র পাঠকরা তাদের পুরনো বই বদল করে নতুন বই নিতে পারবেন।

















