Swadhin News Logo
রবিবার , ২ নভেম্বর ২০২৫ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, আহত দুজন হাসপাতালে ভর্তি

প্রতিবেদক
Nirob
নভেম্বর ২, ২০২৫ ৮:৪০ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, আহত দুজন হাসপাতালে ভর্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় এক শিক্ষকসহ গুলিবিদ্ধ দুজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রবিবার (০২ নভেম্বর) বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ইয়াছিন মিয়া (২০) উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। এর আগে সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিপন মিয়ার (৩০) মৃত্যু হয়। তিনি একই ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। চিকিৎসাধীন দুজন হলেন- বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন (৩৮) ও উপজেলার চরলাপাং গ্রামের নুর আলম (১৮)। এমরান উপজেলার শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। আর নুর আলম হোটেলের কর্মচারী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শিপন সকালে ও বিকালে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।’

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজারের পাশের একটি হোটেলে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে চার জন গুলিবিদ্ধ হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নুরজাহানপুর গ্রামে মোন্নাফ মিয়া ও তার ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত ও আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল। শনিবার রাতে গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন শিপন। এ সময় আরাফাতের নেতৃত্বে একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। হামলার পর দ্রুত পালিয়ে যান আরাফাত ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে মোন্নাফ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা করলে এমরান গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে শিপন বাহিনী ও রিফাত বাহিনীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির টাকাপয়সা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত