সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন কমিশন থেকে চার জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রবিবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা।
শাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাত সদস্যের কমিটি গঠনের কথা থাকলেও ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৭ অক্টোবর এ কমিটি ঘোষণা করেছিলেন উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।
পদত্যাগ করা শিক্ষকরা হলেন- খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সদ্দিকী, গণিতের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘শিক্ষকদের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি। তবে উপাচার্য মহোদয় এখনও তাদের পদত্যাগের চিঠি দেখেননি।’
শাকসুর পুনঃপ্রণয়নকৃত গঠনতন্ত্রের ধারা-৬-এর উপধারা ‘ক’তে বলা হয়েছে, নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদ সভাপতি (উপাচার্য) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ও ঘোষণা করবেন। তিনি নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করবেন। কমিটিতে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠনে সংখ্যার বিষয়টি মানা হয়নি। সেইসঙ্গে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব সংসদ সভাপতির (উপাচার্য) থাকলেও তিনি তা করেননি। এ বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের সর্বোচ্চ সংখ্যার বিষয়ে উপাচার্য একটি সংশোধনী দিয়েছেন। সাত সদস্যের বদলে সেখানে ১৩ সদস্য হবে। আগামী সিন্ডিকেটে সেটা তোলা হবে।’
পদত্যাগ করা নির্বাচন কমিশনার রেজোয়ান আহমেদ বলেন, ‘চিঠির মাধ্যমে উপাচার্যকে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা কাজ করতে চাই না। রেজিস্ট্রারের কাছেও চিঠি দিয়েছি আমরা।’
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে চার জনের পদত্যাগের বিষয়টি আমি জানি না।’

















