টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে কর্মকর্তাসহ চার জনকে মারধর করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
মারধরে আহতরা হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, হঠাৎ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা করেন। পরে আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে অফিসের আরও তিন জন স্টাফকেও মারধর এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা। পাশাপাশি অফিসে ভাঙচুর করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ও পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসানের নেতেৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আমিসহ অফিসের চার জন আহত হয়েছি। হামলাকারীরা অফিসের জানালাসহ বেশ কিছু জিনিস ভাঙচুর করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলায় আহত অন্য দুজন জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দেয় এবং তাদের কাজ করা হচ্ছে না বলে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিস ভাঙচুর ও কর্মকর্তাসহ চার জনকে মারধর করেন। আহত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, ‘এক ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন অফিস থেকে টাকা চাওয়া হয়। সোমবার দুপুরে নির্বাচন অফিসের পাশ দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম। তখন সেখানে ঢুকে নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমার পরিচয় দিই। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তা আমার সঙ্গে হাত মেলাননি। এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা চেয়ার থেকে উঠে অন্য রুমে গিয়ে স্টাফদের ডেকে এনে ভিডিও করতে বলেন। পরে এক স্টাফ এসে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। তাকে ভিডিও করতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসের স্টাফদের হাতাহাতি হয়। তবে নির্বাচন অফিসে ভাঙচুর বা কোনও স্টাফকে মারধর করা হয়নি। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় দরজার থাই গ্লাস ভেঙে পড়ে যায়। সেটি ভাঙচুর করার কারণে হয়নি।’
গোপালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি তেমন গুরুতর নয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। অফিসের কাচের জানালা ভাঙা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’

















