গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানোর কিছুক্ষণ পরেই অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তারিক রিফাত (৫০) নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তারিক রিফাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর রাজাহার ইউনিয়নের পুভুরাম গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিএসএসের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা কারাগারের জেলার মো. আতিকুর রহমান বলেন, বিকাল ৪টার দিকে তাকে কারাগারে আনা হয়। কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৪টা ২০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি তারিক রিফাতের হৃদযন্ত্রে রিং পরানো হয়েছিল এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, ১৭ নভেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির পর সেদিন রাতেই তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়। অসুস্থতার কারণে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে শনিবার বিকালে থানায় আনা হয়। দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, তারিক রিফাতের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্টের আগে ফুলপুকুরিয়া এলাকায় হামলা, বিএনপি অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, জামায়াত নেতাকে হত্যার চেষ্টা এবং বিস্ফোরক আইনের একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তিনি এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজনীতির পাশাপাশি তারিক রিফাত এলাকার সফল উদ্যোক্তা ও যুব সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্থানীয়ভাবে পুকুরে মাছ চাষে তার সুনাম ছিল এবং দলমত নির্বিশেষে তিনি এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন।

















